অনামিকা,
তোমার কোনো স্থিরচিত্র আমাকে দাওনি কখনো...
তবু দেখো আজও তোমার ছবি আমার হৃদয়ে স্পষ্ট,
আঙ্গুলের ছোঁয়ায় মুছে ফেলতে পারিনি
প্রথম দেখার ছটফটানি,
দুপুরবেলায় করা প্রিয় তামাশাগুলো,
সজীব চুম্বনের বৃষ্টিতে ভেজা
প্রথম কৈশোরের স্বাদ,
উন্মুক্ত নীলাভ খাতায় প্রথম লেখা
ঘামে ভেজা শরীরের সুগন্ধ,
কোমরের নগ্ন বারান্দার নিচে
বিস্তৃত সবুজ উপত্যকা আর
একটি পাহাড়ি দৃশ্য...
আজও নিমন্ত্রণ দেয় আমায়......
অনামিকা,
আজও যখন
হলুদ বর্ণ নিমন্ত্রণ দেয় রক্তিমকে,
হঠাৎ বৃষ্টিতে ভেসে যায় দুপুরবেলা,
কিংবা সিঁড়ি হয়ে ওঠে জলপ্রপাতের কিনারা......
তখন অচেনা দৃষ্টিগুলো আমার শরীরে বেঁধে,
অভিমানের অর্থ খুঁজতে থাকি দূরত্বের অভিধানে...
আর হাজারো কবিতারা জন্ম নেয় বেদনার আহ্বানে...
অনামিকা,
একবার চেয়ে দেখো
আজও সুস্পষ্ট
গভীর কালচে দাগগুলো,
জানালার বাইরের দূর নীল নক্ষত্রের দেশ,
ছায়াময় ঘরে ভেসে বেড়ানো তোমার সুগন্ধ,
সবকিছুই......
আমি শুধু
একাকীত্ব গাঢ় হলে গড়ে নিই
অন্ধকার দিয়ে তোমার আদল,
তুমি কি সেই ছবি দর্পণে দেখতে পাও না ?